এটি এটমোস্ফিয়ারিক রিমোট-সেন্সিং ইনফ্রারেড এক্সোপ্ল্যানেট লার্জ-জরিপ বা এরিয়েল নামে অভিহিত করা হয়।
সরকারী অর্থায়নের পরে, ইউসিএল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সুবিধাসমূহ কাউন্সিলের (এসটিএফসি) আরএল স্পেস, প্রযুক্তি বিভাগ এবং যুক্তরাজ্যের অ্যাস্ট্রোনমি টেকনোলজি সেন্টার, কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় - সহ ইউকে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলি মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
অ্যারিয়েলের লক্ষ্য হ'ল আমাদের নিজস্ব সৌরজগতের বাইরে 1000 টি পরিচিত গ্রহ চার্ট করে গ্রহের রসায়ন এবং এর পরিবেশের মধ্যে সংযোগগুলি বোঝা। ইউকে স্পেস এজেন্সি (ইউকেএসএ) আশা করেছে যে এটি বিজ্ঞানীদের কী এক্সপ্লেনেটস তৈরি হয়, কীভাবে তারা তৈরি হয়েছিল এবং কীভাবে তারা বিকশিত হবে তার একটি পরিষ্কার চিত্র সরবরাহ করবে।
উদাহরণস্বরূপ, আরিয়েল জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেনের মতো গ্রহের বায়ুমণ্ডলে সুপরিচিত উপাদানগুলির লক্ষণ সনাক্ত করতে সক্ষম হতে পারে। এটি দূরবর্তী সৌরজগতের সামগ্রিক রাসায়নিক পরিবেশকে বোঝার জন্য ধাতব যৌগগুলি সনাক্ত করবে।
ইউকেএসএ বলছে, নির্বাচিত কয়েকটি গ্রহের জন্য, আরিয়েল তাদের মেঘ পদ্ধতিগুলির গভীর সমীক্ষা করবে এবং মৌসুমী এবং প্রতিদিনের বায়ুমণ্ডলের বিভিন্নতা অধ্যয়ন করবে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে অ্যারিয়েলের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর প্রফেসর জিওভান্না টিনিটি বলেছিলেন, "আমরা প্রথম প্রজন্মের অন্যান্য তারাগুলির চারপাশে গ্রহ অধ্যয়ন করতে সক্ষম।" “এরিয়েল এই অনন্য সুযোগটি কাজে লাগাবে এবং আমাদের ছায়াপথের বিভিন্ন প্রকারের শত শত প্রকৃতি এবং ইতিহাস প্রকাশ করবে। এই মিশনকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য আমরা এখন আমাদের কাজের পরবর্তী পর্যায়ে যেতে পারি। ”
কক্ষপথে একবার আসার পরে, আরিয়েল তার ডেটা সাধারণ জনগণের সাথে ভাগ করে নেবে।
উপরে চিত্রিত একটি উদাহরণ স্পেকট্রাম এরিয়েল কোনও এক্সপ্ল্যানেটের বায়ুমণ্ডলে যেতে পারে এমন আলো থেকে মাপতে পারে।
এরিয়েল 2020 জুড়ে একটি পর্যালোচনা প্রক্রিয়া চলছে এবং এখন 2029 এ চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
"সরকারি অর্থায়নের জন্য ধন্যবাদ, এই উচ্চাভিলাষী নেতৃত্বাধীন মিশনটি সৌরজগতের বাইরে গ্রহগুলির প্রথম বৃহত্ স্টাডি চিহ্নিত করবে এবং আমাদের শীর্ষস্থানীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের তাদের গঠন এবং বিবর্তন সম্পর্কে সমালোচনামূলক প্রশ্নের জবাব দিতে সক্ষম করবে," বিজ্ঞানমন্ত্রী আমান্ডা সোলোয় বলেছেন।
“এটি ইউকে স্পেস ইন্ডাস্ট্রির উজ্জ্বল কাজের প্রমাণ, আমাদের অবিশ্বাস্য বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ লন্ডন এবং আরএল স্পেসের নেতৃত্বে এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের যে এই মিশনটি" উত্তোলন "করছে। আমি এটি ২০২০ সালে লঞ্চের দিকে অগ্রগতি দেখার অপেক্ষায় রয়েছি। "
১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে প্রথম এক্সপ্ল্যানেট আবিষ্কারের পর থেকে প্রায় ৪,৩74৪ টি পৃথিবীতে 3,234 সিস্টেমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ইউকেএসএ বলেছে।
চিত্রগুলি: ইএসএ / এসটিএফসি আরএল স্পেস / ইউসিএল / ইউকে স্পেস এজেন্সি / এটিজি মিডিয়াবল
